কাজ থেকে ইস্তফা নিয়েছেন বেশ কিছুদিন। নতুন ধারাবাহিকেও দেখা মেলেনি তাঁর। কিছুদিন আগেই জানা গেছে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী। চিকিৎসা চলছে, কেমোথেরাপি নিচ্ছেন, এই কথা জানা গিয়েছিল পারিবারিক সূত্রে।
দীপাবলিতে ভক্তদের দেখা দিলেন মিঠু
তবে কাজ থেকে কিছুদিন নিজেকে ছুটি দিলেও খুশির কাছে একদম হার মানেননি অভিনেত্রী। দীপাবলিতে আবার ভক্তদের মাঝে ধরা দিলেন অভিনেত্রী। হাসি মুখে ফ্রেম বন্দি হলেন স্বামী সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন বড় ছেলে গৌরব চক্রবর্তী, আর বড় বৌমা ঋধিমা ঘোষ। নাতি ধীর’কে নিয়ে হাসিমুখে দীপাবলির বাজি পোড়াচ্ছেন। সঙ্গে আছেন বেয়াই মশাই অর্থাৎ ঋধিমার বাবা।
কদিনেই শরীর বেশ ভেঙে পড়েছে মিঠুর। ক্যান্সারের তেজে উঠে গিয়েছে চুল। তবু ঠোঁট দুটিতে অমলীন রয়েছে হাসি। পরিবারকে নিয়ে এবারের দীপাবলি পালন করলেন মিঠু। মিঠু চক্রবর্তীর একপাশে দাঁড়িয়ে বড় ছেলে গৌরব, অন্য পাশে স্বামী সব্যসাচী। তাঁর সঙ্গে দেখা গেল বড় বউমা ঋদ্ধিমা ও তাঁর বাবাকে। একটি ছবিতে ঋদ্ধিমার বাবার কোলে দেখা গেলো তাঁর নাতি ধীরকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবিটা শেয়ার করেছেন মিঠুর বড় ছেলে গৌরব।
সেই ছবিতেই দেখা গেল চেহারা অনেকটাই ভেঙে গেছে মিঠুর। একদেখাতেই বেশ রোগা লাগছে। উঠে গিয়েছে মাথার চুল। তবে মুখের হাসি কিন্তু এক ফোঁটা কমেনি। এত কষ্টের পরেও, আনন্দের ছাপ মুখে স্পষ্ট। পরিবারের সঙ্গে দীপাবলি পালনের ছবি দিয়ে গৌরব লিখলেন, সে তাঁদের পরিবারের সকলের তরফ থেকে থেকে সকলকে দীপাবলি এবং কালীপুজোর শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এই উৎসব সকলের জীবনকে আলোকিত করে, সমস্ত বাধা দূর করে এবং অফুরন্ত আনন্দ এবং আশীর্বাদ নিয়ে আসুক। ভালবাসা এবং ঐক্যের চেতনায় একসঙ্গে উৎসব উদযাপনের ডাকও দিয়েছেন তিনি।
ছবিতে আরও ধরা পড়লো রঙ্গোলি আর মোমবাতিতে সাজানো হয়েছিল তাঁদের বাড়ি। সাথে ছিল টুনি লাইটও। ধীরকে দেখা গেল আতসবাজি ফাটাতে। ভক্তরা ছবিতে মন্তব্য করলেন, ‘দাদু ঠাম্মা ঠাকুরদা, ধীরের তো ভারি মজা’। আরেকজন লিখলেন, ‘মিঠুম্যামকে দেখে কষ্ট লাগছে।’ তৃতীয়জন লেখেন, ‘গোটা পরিবারকে নিয়ে ভালো থাকবেন’।
শেষবার মিঠু চক্রবর্তীকে দেখা গেছে হরগৌরী পাইস হোটেল ধারাবাহিকে। সেখান থেকে সরে দাঁড়ানোর পরই শোনা গিয়েছিল মিঠু চক্রবর্তী ক্যান্সারে আক্রান্ত। এরপর স্বামী সব্যসাচী সংবাদমাধ্যমকে জানান, মিঠু স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। জানা গিয়েছিল, ফেব্রুয়ারি মাসে হয় অস্ত্রোপচার। তারপর শুরু হয় কেমো। আর সেটির শেষে হয় রেডিয়ো থেরাপি।
মিঠু জানিয়েছিলেন, শরীর আর সঙ্গ দিচ্ছিল না শ্যুটিংয়ের ঝক্কিতে। প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল বিশ্রাম নেওয়ার। তাই তিনি ছেড়ে দেন হরগৌরী ধারাবাহিকের কাজ। তারপর থেকে গোটা পরিবার আগলে রাখেন মিঠুকে।
চলতি বছরের মার্চ মাসে বড় ছেলে গৌরব ও পুত্রবধূ ঋদ্ধিমা ঘোষের একমাত্র সন্তান ধীরের অন্নপ্রশনের অনুষ্ঠানের পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছিল, রাতে হঠাৎই বুকে ব্যথা শুরু হয় তারকার। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হার্টে ব্লক থাকায় বসে পেসমেকারও।