দিন কয়েক হলো খবর রটেছে পিসির মৃত্যুতে বিয়ে পিছিয়েছে অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাসের। শ্বেতার অবিবাহিত পিসি মারা গিয়েছেন খুব বেশিদিন পেরোয় নি। তবে সেই কারণে বিয়েতে কোনপ্রকার বাঁধা আসবে না সেকথাও অভিনেত্রী নিজেমুখেই নিশ্চিত করেছিলেন। তাই বিয়ে বাতিলের খবর যে ভুয়ো তাবেশ ভালই বোঝা যাচ্ছে। নিজের সোশাল মিডিয়াতে একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে শ্বেতা জানিয়েছিলেন যে তাঁদের বিয়ে ভাঙতে পারেনা। তাঁদের সম্পর্ক সাতজন্মের। এবারে তার প্রমাণ আরও ভালোমতো মিললো শ্বেতা রুবেলের আশীর্বাদের ছবি সামনে আসার পর।
নিজেদের প্রেম নিয়ে কোনওদিনই লুকোচুরি ছিলো না রুবেল-শ্বেতার মধ্যে। ২০২০ সালে ‘যমুনা ঢাকি’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করার সময়ই দুজনের ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয় শ্বেতা-রুবেলের। পরে ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব গড়ায় অন্য সম্পর্কের দিকে। বন্ধুত্ব পরিণতি পায় ভালোবাসায়। তবে প্রথমেই নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে এতোটা খোলামেলা ছিলেন না রুবেল-শ্বেতা। গোড়ার দিকে তাঁরা নিজেদের সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথাই বলতে চাইতেন না। পরে রুবেল-শ্বেতা দুজনেই মুখ খুলেছেন নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে। দুজনে যে প্রেমের সম্পর্কে আছেন সেকথা সকলের সামনে মেনেও নিয়েছেন। সর্বজন জানিয়ে দুজন চুটিয়ে প্রেম করেছেন বেশ কয়েকবছর। এবারে চারহাত এক হওয়ার পালা।
চারবছর প্রেমের পর একে অপরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন রুবেল-শ্বেতা
টলিপাড়ায় আবারো বাজতে চলেছে বিয়ের সানাই। আগামী বছরের জানুয়ারিতে সাতপাক বাধা পড়তে চলেছেন শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাস। তবে চাইলেই তো আর সরাসরি বিয়ের পিঁড়িতে বসা যায় না। তাঁর আগে আরও অনেকগুলো রাউন্ড মিটিয়ে তারপর গোল দিতে হয়। সেরকমই বিয়ের আগের একটি ধাপ পার করলেন শ্বেতা ও রুবেল। সারলেন নিজেদের আশীর্বাদ পর্ব। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে গত রবিবার সমস্ত রীতিনীতি মেনে হল তাঁদের আশীর্বাদ।
বিয়ে পেছোবো বা বিয়ে বাতিলের মতো সমস্ত যাবতীয় জল্পনা দূরে সরিয়ে বাগদান সারলেন শ্বেতা-রুবেল। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো এই জুটির আশীর্বাদ। আগামী বছরেই বিবাহ অভিযান সম্পন্ন হবে দুজনের। আশীর্বাদের অনুষ্ঠান যেন সেই খবরেই নিশ্চিত এক সিলমোহর দিল। বছরের শুরুতেই, জানুয়ারি মাসে সাত পাঁকে বাঁধা পড়তে চলেছেন অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচাৰ্য ও রুবেল দাস।
আগামী বছর জানুয়ারিতেই মালাবদল, শুভদৃষ্টি সহ সাত পাকে বাঁধা পড়বেন শ্বেতা ভট্টাচাৰ্য-রুবেল দাস। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছিলেন তাঁরা। এবারে তাঁদের সেই সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিলেন সামাজিকভাবে। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে রবিবারদিন তাঁদের আশীর্বাদ হল হিন্দুরীতি মেনে। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো সমাজমধ্যমে শেয়ার করেছেন শ্বেতা। আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের সঙ্গে হাসিমুখে ধরা দিয়েছেন রুবেল-শ্বেতা।
আশীর্বাদের দিন রংমিলান্তিতে ধরা দিয়েছিলেন শ্বেতা-রুবেল!
নিজেদের জীবনের এই বিশেষদিন শ্বেতা-রুবেল একই রঙের পোশাকে নিজেদের সাজিয়েছিলেন। বর্তমানে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন নায়িকা। নিজের বিশেষদিনে সেজে ওঠার জন্য তিনি বেছে নিয়েছিলেন নীল সিল্ক। তাতে সোনালি বুটির কাজ করা। সঙ্গে সোনার গয়না। এদিন তাঁরা দুজনেই সেজে উঠেছিলেন নীল রঙের পোশাকে। একই রঙের পাঞ্জাবি আর সাদা চোস্ত পাজামা পরেছিলেন রুবেল। দুই বাড়ির সমস্ত আত্মীয় এ দিন উপস্থিত ছিলেন। ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল আশীর্বাদের জায়গা।
নায়িকার পরনে ছিল সোনালি রঙের বুটি দেওয়া নীল সিল্কের শাড়ি। পাড়ের সঙ্গে মিলিয়ে গোলাপি রঙের ম্যাচিং ব্লাউজ পরেছিলেন তিনি। সঙ্গে সোনার গয়নায় সেজে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গে রং মিলিয়েই হবু বর রুবেল পরেছিলেন পাঞ্জাবি সঙ্গে সাদা চোস্ত পাজামা। দুই বাড়ির সমস্ত আত্মীয়দের উপস্থিত এদিনের অনুষ্ঠান হয়েছিল। আশীর্বাদের জায়গা সাজানো হয়েছিল ফুল দিয়ে। তাঁদের আশীর্বাদের ভিডিয়োও ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। ভিডিয়োটি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘পরিবারের আশীর্বাদ নিয়ে শুরু হলো নতুন জীবনের প্রথম পদক্ষেপ’। আশীর্বাদের ভিডিয়ো দেখে তাঁদের অনুরাগীরা শুভেচ্ছা বার্তায় যুগলকে ভরিয়ে দিয়েছেন।