বাবার পরিচয়েই সাধারণত পরিচিতি পায় ছেলে মেয়েরা। সেই ধারা উল্টে দিলেন বর্তমানের জনপ্রিয় এক বলিউড অভিনেতা। খুব অল্প বয়সেই নিজের বাবাকে নতুন পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।অভিনেতার নাম পঙ্কজ ত্রিপাঠি। তবে এটি নাকি তাঁর আসল নাম নয়। শুধু ভক্তরা কেন চেনাজানা অনেকেই জানেন না তাঁর আসল নাম। ‘কালিন ভাইয়া’, ‘রুদ্র ভাইয়া’-এর মতো পর্দার নামে অনেকে চেনেন পঙ্কজ ত্রিপাঠিকে
পঙ্কজ ত্রিপাঠির আসল নাম অনেকেই জানেন না
হ্যাঁ বিষ্ময়কর হলেও, অভিনেতার আসল নাম পঙ্কজ ত্রিপাঠী নয়। পঙ্কজ ত্রিপাঠি ‘আপকি আদালত’-এ রজত শর্মাকে বলেন যে তাঁর আসল নাম পঙ্কজ তিওয়ারি। দশম শ্রেণিতে ফরম পূরণের সময় নিজের নামসহ বাবার নামও পাল্টে দিয়েছিলেন তিনি। এটি অভিনেতার কুসংস্কার বা অন্ধবিশ্বাসের দরুন ঘটেছে। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি ত্রিপাঠি উপাধি নিয়ে জীবনে অনেকদূর যাবেন, যা বাস্তবে ঘটেছেও। তিনি বর্তমানে বলিউডের একজন সফল অভিনেতা। তাঁর অভিনীত যে কোনো সিনেমাই এখন সুপারহিট। অভিনেতা হিসেবে তার নামডাক ও কম নয়। পঙ্কজ থাকলে সেই ছবি সুপার হিট হবেই বা তাঁর চরিত্রটি অসাধারণ হবে তা যেন দর্শকের বাঁধাধরা হিসেব। পঙ্কজ ত্রিপাঠি দশম শ্রেণীতে নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন।অভিনেতা আরও বলেন যে তাঁর এক চাচা ছিলেন যিনি ত্রিপাঠি লিখতেন এবং তিনি একজন অফিসার হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, যাদের তিনি ত্রিপাঠী লিখতে দেখেছেন তারা সকলেই শিক্ষিত ছিলেন এবং জীবনে বহুদূর এগিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর নিজের উপাধির লোকেরা অর্থাৎ তিওয়ারি উপাধিরা পূজা-অর্চনা ও কৃষিকাজে নিয়েই ব্যস্ত থাকছেন এবং সেটিই তাঁদের জীবিকার একমাত্র উৎস।অভিনেতার মতে, তিনি কখনোই শুধুমাত্র কৃষিকাজ বা পূজা করতে চাননি, তাই তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করেছেন। পঙ্কজ তিওয়ারি থেকে তার নাম পরিবর্তন করে ত্রিপাঠী করার পর, যখন তার বাবার নামের পালা আসে, তখন তিনি ধারণা করেছিলেন যে তাঁর ফর্ম প্রত্যাখ্যান করা হতে পারে। আর এই ভয়ের কারণেই তিনি তার বাবাকেও একটি নতুন নাম তথা পরিচয় দিয়েছিলেন। দশম শ্রেনীর পর, অভিনেতার নাম পঙ্কজ তিওয়ারি থেকে পরিবর্তিত হয়ে পঙ্কজ ত্রিপাঠী হয় এবং তার বাবার নামও পরিবর্তীত হয়ে পন্ডিত বেনারস ত্রিপাঠী করা হয়। এই অভিনেতার পাশাপাশি তাঁর নাম পরিবর্তনের গল্পও এখন ভক্তদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।অভিনেতা এখন যে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজই করেন, তা কিন্তু হিট হয়ে যায়। তাঁর নতুন সিনেমা স্ত্রী ২ ও কিন্তু বক্সঅফিসে অসামান্য সাফল্য পেয়েছে।
প্রতিবেদন : প্রিয়াংকা সরকার