নিত্যদিন বলিউডে কত ঘটনাই ঘটে। তারমধ্যে কিছু প্রকাশ্যে আসে, কিছু আবার চাপা পড়ে যায়। রানি মুখার্জি ও গোবিন্দা অরুণ আহুজার সম্পর্কের গুঞ্জন ঠিক তেমনি এক ঘটনা। গুঞ্জনের জন্য প্রায় শেষ হতে বসেছিল অভিনেতা গোবিন্দার দাম্পত্য জীবন। তবে গুঞ্জন বলা কতটা ঠিক হচ্ছে সেকথা বলাই বাহুল্য। তাঁদের ‘সেই’ রাত নিয়ে আজও ভক্তদের মধ্যে চলে চর্চা। কী হয়েছিল সেদিন?
প্রায় দু’দশক আগের কথা। সে সময় গোবিন্দার কেরিয়ার বেশ ভালো খুঁটি পুতেছে বলিউডে। অন্যদিকে বলিউডে সবে পা রেখেছেন রানি। আস্তে আস্তে বলিউডে নিজের ভিত মজবুত করছেন তিনি। এমন সময়েই গোবিন্দার সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ হয় তাঁর। একের পর এক ছবি হিট হতে থাকে তাঁদের। ‘হদ কর দি আপনে’ ছবির শ্যুটিংয়ে বেশ দীর্ঘসময় সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন সিনেমার কলাকুশলীরা। গুঞ্জন রটে বাইরে শ্যুটিং করতে গিয়েই নাকি সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁরা। একটু ফাঁক পেলেই নিজেদের মতো করে সময় কাটাতেন দু’জনে। গোবিন্দার পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে রানির কাছে পৌঁছে যেতে থাকে দামি গাড়ি, ফ্ল্যাট আরও অনেক কিছু।
কি ঘটেছিল সেই রাতে?
সে সময়েই একবার এক সাংবাদিক যান রানির সাক্ষাৎকার নিতে। বিদেশে থাকাকালীন যে হোটেলে রানি ছিলেন, সেখানেই নাকি মাঝরাতে পৌঁছে গিয়েছিলেন গোবিন্দা। মাঝরাতে তাঁকে নাইটস্যুট পরিহিত অবস্থায় অভিনেত্রীর ঘর থেকে বেরোতে দেখে ফেলেন সেই সাংবাদিক। এভাবেই বলিউডের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে দু’জনের প্রেমের গুঞ্জন। স্বামীর এহেন ‘কীর্তি’র কথা জানতে পেরে স্ত্রী সুনিতা আহুজার মাথায় যেন বাজ পড়ে। সেই মুহূর্তে গোবিন্দার বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি।
এরপর রানি মুখার্জি তাঁর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যেকোনো অভিনেত্রীই যখন গোবিন্দার সঙ্গে গুটিকয়েক ছবিতে অভিনয় করেন, তখনই মিডিয়ার মনে হতো গোবিন্দার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি নিজে ছাড়াও গোবিন্দার সঙ্গে আরও অন্য নায়িকাদের নাম জড়িয়েছিল। তবে রানির জন্য গোবিন্দার মতো ভাল বন্ধু এবং মজাদার মানুষ হয়না।
প্রেমের পরিণতি কি ছিল?
তবে কি গুঞ্জন সবটাই মিথ্যে? সাক্ষাৎকারে যদিও হোটেল রুমে একসঙ্গে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন রানি। কিন্তু যা ঘটে তাঁর কিছু তো বটে। শোনা যায়, রানির এই সাক্ষাৎকারের পরই সুনীতা গোবিন্দকে ছেড়ে চলে যান নিজের বাড়িতে। তবে প্রেমের জন্য সংসার ভাঙতে রাজি ছিলেন না গোবিন্দা। রানিও কোনও রকমের অশান্তি চাননি। তাই নিঃশব্দে তাঁদের সম্পর্ক ভাঙে। প্রেমিকাকে ছেড়ে আবার স্ত্রীর কাছেই ফিরে যান গোবিন্দা।
গোবিন্দা ও সুনীতা মতপার্থক্য মিটিয়ে নতুন করে সংসার শুরু করেন। পরবর্তীতে গোবিন্দাকে রানির সঙ্গে কাজ না করার শর্ত দিয়েছিলেন সুনীতা। অন্যদিকে রানি দাবি করেছিলেন, গোবিন্দা নাকি শুধুই তাঁর বন্ধু। গোবিন্দাকেই রানি আখ্যা দিয়ে বসেন ‘হামদর্দ’। যদিও সে সবই এখন অতীত। পরিচালক আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে এখন বেশ সুখে সংসার করছেন রানি। কিন্তু গোবিন্দার জীবনের সেই যে কলঙ্ক! আজও তার দায়ভার বইতে হয় তাঁকে। ‘ইলজাম’ ছবিতেও নাকি তাঁর সহশিল্পী নীলম কোঠারির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গোবিন্দা। ১৯৮৭ সালে সুনীতা আহুজাকে বিয়ে করেন গোবিন্দা। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। তবে গোবিন্দার সেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে আজও চলে নানারকম চর্চা।