সম্প্রতি বচ্চন পরিবারের মধ্যে অশান্তির খবর নিয়ে ভারতীয় মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে মূলত অমিতাভ বচ্চনের একটি সিদ্ধান্তের কারণে। তিনি তাঁর মেয়ে শ্বেতা বচ্চনের নামে নিজের বাংলো লিখে দিয়েছেন, এবং এ ঘটনার পর থেকেই পরিবারের মধ্যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে। এই অশান্তি এতটাই বেড়েছে যে, পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, ঐশ্বর্য বর্তমানে তাঁর মেয়ে আরাধ্যার সঙ্গে নিজের ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। যদিও অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য এখনও পর্যন্ত নিজেদের বিচ্ছেদের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি, তবে তাঁরা তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে একাধিক গুজবের সম্মুখীন হচ্ছেন। কিছু সূত্র বলছে, ঐশ্বর্য বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পেছনে সম্পত্তির বিষয়টি মূল কারণ হতে পারে, যা অনেকের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
অভিষেক বচ্চন সম্প্রতি মুম্বাইয়ের মালাড় এলাকায় ১০টি নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন। এ কাজটি তিনি অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে যৌথভাবে করেছেন এবং তাঁদের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা বর্তমানে প্রায় ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। এই ১০টি ফ্ল্যাটের মধ্যে আটটি ফ্ল্যাটের আয়তন ১০৪৯ বর্গফুট এবং দুটি ছোট ফ্ল্যাট ৯১২ বর্গফুটের। এর মধ্যে ছয়টি ফ্ল্যাট অভিষেক নিজের অর্থ দিয়ে কিনেছেন, যার জন্য তাঁকে প্রায় ১৪.৭৭ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে।
তবে কি সবই ঐশ্বর্যর মান ভাঙানোর চেষ্টা?
বিষয়টি নিয়ে অনেকের ধারণা, এটি এক ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হতে পারে, যেখানে অভিষেক রাই সুন্দরীর মান ভাঙাতে চাইছেন। এমনকি কিছু সূত্রে শোনা যাচ্ছে, অভিষেক নাকি অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গে একটি সম্পর্ক গড়েছেন, যা আরও জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তবে, এই সম্পর্কের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয় এবং সমস্ত খবর শুধুই গুজবের পর্যায়ে রয়েছে।
এই অশান্তির মাঝেই একাধিক প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে,
সম্প্রতি ঐশ্বর্য কি কারণে ভোপালে গিয়েছিলেন?
এই বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এটি নিশ্চিত যে, তিনি তাঁর এক তুতো ভাইয়ের জন্মদিনে অংশ নিতে সেখানে গিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে অভিষেককে দেখা যায়নি, যা নিয়ে আরও জল্পনা চলছে।
সার্বিকভাবে, বচ্চন পরিবারের এই অশান্তি নিয়ে মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা চলছে। যদিও বর্তমানে কেউই এই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বক্তব্য করেননি, তবে পরিবারটির সদস্যদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সম্পত্তির কারণে চলা টেনশন নিয়ে দর্শকদের কৌতূহল বেড়েই চলেছে। ভবিষ্যতে কী ঘটবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।