এই বছরের ক্রিসমাস ঋতাভরী চক্রবর্তীর জন্য ছিল আরও বেশি বিশেষ। কারণ, এই দিনটি শুধু উৎসবের দিন নয়, তাঁর নতুন বাড়ির গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানও ছিল। অভিনেত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আবেগপূর্ণ বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, কীভাবে এই বাড়ি তৈরি করতে তিনি অগাধ ভালোবাসা এবং যত্ন দিয়েছেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে পেরে তিনি অত্যন্ত খুশি।
স্বপ্নপূরণের এক ধাপ ….
ঋতাভরীর পোস্টে স্পষ্ট যে তাঁর নতুন বাড়িটি কেবল একটি নির্মাণ নয়, বরং এটি তাঁর স্বপ্নের বাস্তব রূপ। তিনি লিখেছেন, বাড়িটির প্রতিটি কোণ সাজানোর জন্য তিনি সময়, শ্রম এবং ভালোবাসা দিয়েছেন। প্রতিটি আসবাব, রঙ এবং সাজসজ্জার মধ্যে রয়েছে তাঁর ব্যক্তিত্বের ছাপ। এই বাড়ি তাঁর জীবনের একটি বড় অর্জন এবং স্বপ্নপূরণের প্রতীক। বাড়িটি সাজাতে তিনি যে পরিমাণ যত্ন নিয়েছেন, তা তাঁর আবেগপ্রবণ কথাগুলোতেই প্রকাশ পেয়েছে।
ঋতাভরীর কাছে এই বাড়ি এমন একটি জায়গা, যা শুধু বসবাসের জন্য নয়, বরং যেখানে তিনি শান্তি এবং আনন্দ খুঁজে পান। এটি তাঁর পরিশ্রমের ফল এবং জীবনের একটি বড় মাইলফলক।
উৎসব ও আনন্দ…
গৃহপ্রবেশের দিনটি ছিল উজ্জ্বল এবং আনন্দময়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিতাভরীর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। হাসি-আনন্দ, খাওয়া-দাওয়া এবং উৎসবের পরিবেশে বাড়িটি যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। তিনি বলেন, প্রিয়জনদের সঙ্গে এই মুহূর্ত ভাগ করে নিতে পারা তাঁর জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।
ঋতাভরীর ক্রিসমাস পার্টি ছিল খুবই ঘরোয়া এবং আন্তরিক। তিনি আরও জানান, এই দিনটি শুধুমাত্র উৎসব উদযাপনের নয়, বরং তাঁর জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার দিনও। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, গল্প করা, এবং মুহূর্তগুলো উপভোগ করা—সবকিছু মিলিয়ে এটি ছিল এক স্মরণীয় দিন।
অনুরাগীদের ভালোবাসা…
ঋতাভরীর এই বিশেষ মুহূর্ত শেয়ার করার পর থেকেই তাঁর অনুরাগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। অনেকেই তাঁর নতুন বাড়ির প্রতি ভালোবাসা এবং প্রশংসা জানিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, তাঁর এই পরিশ্রম এবং সাফল্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।ঋতাভরী তাঁদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং এই আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত।
ঋতাভরী বারবার বলেছেন যে একটি বাড়ি কেবল ইট, কাঠ বা সিমেন্টের নয়। এটি আবেগ, স্মৃতি এবং ভালোবাসার মিশ্রণ। নিজের বাড়ি তৈরি করতে তিনি যে ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছেন, তা তাঁকে আরও বেশি তৃপ্তি দিয়েছে। প্রতিটি ছোটো জিনিসে রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ এবং যত্নের ছোঁয়া। নতুন বাড়ি মানে নতুন স্বপ্ন এবং নতুন আশা।ঋতাভরী সেই আশা নিয়ে তাঁর জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। তাঁর কথায় বোঝা যায়, জীবনের প্রতিটি ছোটো-বড়ো প্রাপ্তিকে উদযাপন করা উচিত, আর সেটি প্রিয়জনদের সঙ্গে হলে তার আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যায়।
ঋতাভরী চক্রবর্তীর এই ক্রিসমাসের উৎসব এবং গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠান শুধু একটি পার্টি নয়, বরং এটি ছিল একটি নতুন যাত্রার সূচনা। তাঁর জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো তাঁর কাছে ছিল সবচেয়ে মূল্যবান।
ঋতাভরী জীবনের এই অধ্যায় তাঁর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং স্বপ্নের প্রতিফলন। এটি প্রমাণ করে যে কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্য একদিন সাফল্যের দরজা খুলে দেয়। তাঁর এই বাড়ি শুধু তাঁর নয়, তাঁর অনুরাগীদের কাছেও একটি অনুপ্রেরণা। এই ক্রিসমাস এবং গৃহপ্রবেশ ঋতাভরী জীবনের একটি মিষ্টি স্মৃতি হয়ে থাকবে। তাঁর ভক্তরা আশা করছেন, এই নতুন বাড়ি তাঁকে আরও আনন্দ এবং সাফল্য এনে দেবে।