২০ এর দশকের জনপ্রিয় গায়ক শান। শাহরুখ খান বা সইফ আলি খানের প্লে ব্যক সিঙ্গার হিসেবে শান ছাড়া আর কাওকে যেন কল্পনাও করা যায়। তবে এবারে বড়সড় দুর্ঘটনার মুখ থেকে ফিরলেন এই গায়ক। গভীর রাতে গায়কের আবাসনে অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটে। গায়ক ও তাঁর পরিবারের সকলে সুস্থ আছেন তো?
সংবাদমাধ্যমের সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সোমবার গভীর রাতে গায়ক শানের আবাসনে অগ্নিকাণ্ডর মতো দুর্ঘটনা ঘটে। দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা যায় আগুন। ঘটনায় কেই নিহত না হলেও, আহত হয়েছেন একজন। যে আবাসনে এই দুর্ঘটনা ঘটে সেখানকার বারো তলায় সঙ্গীতশিল্পীর ফ্ল্যাট। তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না, অথবা ওই বিপত্তির সময় তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ফ্ল্যাটে ছিলেন কি না সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি। এমনকি গায়কের তরফ থেকে আসেনি কোনও অফিশিয়াল বিবৃতি।
রাত দুটোয় গায়কের আবাসনে আগুন! দমকল বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে—মুম্বইতে বান্দ্রার ওয়েস্ট এলাকায় অবস্থিত শানের এই আবাসন। স্থানীয় লোকজনদের থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সেদিন রাত পৌনে দুটো নাগাদ ঘটনা ঘটে। তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে দমকল দপ্তরে খবর যায়। জানানো হয়, আবাসনে আগুন লেগে গিয়েছে। সঙ্গে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। আবাসনে পৌঁছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা দেখতে পান, সাত তলা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুনের ফুলকিও দেখা যাচ্ছে।
আগুনের উৎপত্তিস্থল কোথায়? কীকরে ঘটলো এহেন অঘটন?
অতি সত্তর পরিস্থিতি মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। তবে জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে আশি বছরের এক বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত ধোঁয়ার কারণেই দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। বৃদ্ধাকে উদ্ধার করার পর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। খবর দেওয়া হয় কাছের বেসরকারি হাসপাতালে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে আইসিউতে রাখা হয়েছে বলেই খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনায় আর কোনও হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আগুন লাগল কী কারণে? আগুনের উৎপত্তিস্থল কোথায়? প্রাথমিক তদন্তের পর দমকল কর্মীদের অনুমান, শর্টসার্কিটের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। আবাসনের বিদ্যুৎ যোগাযোগে কোনও সমস্যা ছিল কি না, সেবিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গেছে। এরপর এহেন অগ্নিকাণ্ডের খবর এসেছে আরও খান কয়েক। সোমবার বিকেলেই মুম্বইয়ের কুরলা স্ক্র্যাপ মার্কেটে আগুন লেগে যায়। ঘটনায় ৩০ থেকে ৪০টি ওয়্যারহাউস পুড়ে যায়। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।