মনোহরা নেবে মনোহরা! জি বাংলার পর্দায় মিঠাই ধারাবাহিকের মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সৌমীতৃষা কুন্ডু। যদিও তাঁর আগেও বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে সবথেকে বেশি দর্শকের ভালোবাসা পেয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন মিঠাই ধারাবাহিকের মাধ্যমেই। ছোট পর্দা থেকে শুরু হওয়া এই সফরের গাড়ি এখন রমরমিয়ে চলছে। বাঙালি দর্শক তাঁকে চেনে ‘মিঠাই’ নামে।
ছোটপর্দার খ্যাত মিষ্টি সেই হিরোইন এখন পাড়ি দিয়েছেন বড় পর্দায়। বাংলার সিনেমা জগতের অন্যতম তারকা দেবের সঙ্গে জুটি বেঁধে পাড়ি দিয়েছেন বড় পর্দায়। দেবের সিনেমার নায়িকা তথা প্রধান চরিত্র হয়ে ‘প্রধান’ ছবিতে অভিনয় করলেন। এরপর সম্প্রতি ওটিটির পর্দায় ধরা দিয়েছেন তিনি। কালরাত্রি নামক ওয়েব সিরিজে তাঁর অসামান্য অভিনয় মন ছুঁয়ে গেছে দর্শকের। সমাজমাধ্যমেও তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই।
সেরার শিরোপা উঠলো সৌমীতৃষার মাথায়!
গত সোমবার সন্ধ্যেয় জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ বছরের ‘বছরের বেস্ট ২০২৪’-এ বিনোদন জগৎ থেকে সেরার শিরোপা পেলেন সৌমীতৃষা কুন্ডু। পুরস্কার হাতে পেয়ে সৌমীতৃষা বলেন ‘এত প্রতিভাবানের সামনে আমি নগণ্য’। সেরার শিরোপার পুরস্কার নিতে সৌমীতৃষা ধরা দিয়েছিলেন নজরকাড়া রূপে। তাঁর পরনে ছিল কালো সিকুইনড্ পোশাক। টান টান করে বাঁধা ছিল চুল। এই সাজেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন ‘মিঠাই’ সৌমীতৃষা। স্বয়ং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার তুলে দেন তাঁর হাতে।
অভিনেত্রীর পরনে ছিল কালো রঙের সিকুইনড্ পোশাক। টান টান করে বাঁধা চুল। লাস্যময়ী সাজে অনুষ্ঠানে ধরা দিলেন অভিনেত্রী সৌমীতৃষা। বাংলার অন্যতম চলচিত্র অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর হাতে তুলে দেন পুরস্কার। এরপর তিনি হাতে তুলে নেন মাইক্রোফোন। এরপর অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা পাওলি দাম একরকম মজা করেই অভিনেত্রীর উদ্দ্যেশ্যে একটি লাইন বলে বসেন। তিনি বলেন, “বুম্বাদার হাত থেকে পুরস্কার পাওয়া কিন্তু বড় ব্যাপার! শুনেছি, সৌমীতৃষা নাকি কেনাকাটা করতে খুব ভালবাসেন। টানা এক মাস যদি কেনাকাটা করতে না-পারেন তা হলে অসুবিধা হবে না?”
পাওলির কথার উত্তরে বেশ কাঁপা গলায় সৌমীতৃষা বলেন, তিনি যদি অভিনয়ের মধ্যে থাকেন তাহলে তাঁর কোনোই অসুবিধে হবে না। পুরস্কার পেয়ে অভিনেত্রী যে বেশ উচ্ছ্বসিত সঙ্গে শিহরিত তা ভালই বোঝা গেলো। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে সেরার শিরোপা জেতার পর তা অভিনেত্রীর জন্য বেশ স্বাভাবিক।
পুরস্কার পেয়ে সকলের উদ্দ্যেশ্যে বক্তব্য রাখেন সৌমীতৃষা
পুরস্কার পাওয়ার পর সৌমীতৃষা নিজের অনুভূতি স্বীকার করে নেন। তিনি নিজেই স্বীকার করে নেন, এই মুহূর্তে তাঁর সত্যিই গলা কেঁপে যাচ্ছে। এই মঞ্চে পুরস্কৃত হয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করার শুরুতে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে তাঁর প্রণাম জানান। আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানে যাঁদের তিনি দেখছেন, যাঁরা পুরস্কার পাচ্ছেন, প্রত্যেকে খুব গুণী। তাঁদের প্রতিভার সামনে নিজেকে অতি নগণ্য হিসেবে স্বীকার করলেন সৌমীতৃষা। তিনি বলেন, তিনি শুধু ওই অভিনয়টুকুই করতে পারেন।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে সৌমীতৃষা জানান, এই পুরস্কার তাঁর কাছে খুবই সম্মানের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান তিনি। অভিনেত্রী বলেন, এমন সম্মানে ভূষিত হলে, তাঁদের দায়িত্ব আরও অনেকটা বেড়ে যায়। তাঁকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি যেন ছোট্ট ছোট্ট পায়ে আরও সামনে এগোতে পারেন, উপস্থিত সকলের কাছে সেই আশীর্বাদ চেয়েই নিজের বক্তব্য শেষ করেন সৌমীতৃষা।