প্রায় ৩ দশক বাদে পুরনো প্রেম নিয়ে কথা বললেন বিশিষ্ট পরিচালক বিক্রম ভাট। ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়ে তৈরি বিতর্কিত ছবি ‘লভ গেমস’ পর্দায় আসার অপেক্ষায়। ছবির পরিচালকের বিশ্বাস ভারতীয় দর্শকেরা এখন ‘লভ গেমস’-এর মতো সাহসী ছবির জন্যে তৈরি। বিক্রমের এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, পত্রলেখা, গৌরব আরোরা এবং তারা আলিশা। বিক্রম জানিয়েছেন, এখানেও পত্রলেখার চরিত্রটি একজন জনপ্রিয় সমাজকর্মীর জীবন অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। যদিও কে সেই নারী, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি পরিচালক।
পুরোনো সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক বিক্রম ভাট!
তবে অন্য এক বিষয়ে কথা বললেন পরিচালক। এই ছবির প্রচারেই এক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিক্রম ভাট কথা বললেন, তাঁর নিজের জীবনের গোপন সম্পর্ক নিয়ে। সেখানেই তাঁর স্বীকারোক্তি একসময় তিনি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড তারকা সুস্মিতা সেনের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। তবে তাঁদের এই সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল যখন তাঁরা দুজনেই কুড়ির কোঠায় ছিলেন।
বিক্রম বলেন, সেসময় দুজনেই মারাত্মক অপরিণত ছিলেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের মতো জটিল বিষয়কে কীভাবে মোকাবিলা করা যায় সেব্যাপারে। তবে এই বিষয়ে নিজেদের একটুকুও অপরাধী মনে করেন না বিক্রম। কারন সেই সময় অভিনেত্রী আমিশা পাটেল ও বিক্রম বিবাহিত হলেও তাঁদের বিচ্ছেদের সময়ও চলে এসেছিল। এমনকি বিচ্ছেদের জন্য আপিল করা থেকে শুরু করে বিচ্ছেদের কাজ প্রায় মিটেই গিয়েছিল। তাই সুষ্মিতা যে মোটেই তাঁর বিবাহিত জীবনে ঝর তোলেননি সেকথা অকপটে স্বীকার করেন বিক্রম।
এই বয়সে এসেও দিন কয়েক আগে ললিত মোদীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের ব্যক্তিগত জীবন সব সময়েই চর্চার শীর্ষে। জীবনের নানান ওঠাপড়া রয়েছে তাঁর জীবনে। তবে সবকিছুর ভেতর তাঁর প্রেমের জীবন বেশি চর্চিত। বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, সমস্ত সীমা পার করে দিয়েছিলেন। তবে এই নিয়ে মনে কোনও আক্ষেপ বা অনুতাপ কিছুই ছিলনা।
প্রেমের বিষয়ে অকপট সুস্মিতা! বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ নেই তাঁর মনেও!
বলিউডের সেই সমস্ত নায়িকাদের মধ্যে সুস্মিতা অন্যতম যিনি প্রেমের জীবন নিয়ে অত্যন্ত চর্চায়। ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পরে সুস্মিতা সেনের নাম সবার আগে প্রযোজক-পরিচালক বিক্রম ভাটের সঙ্গে। ১৯৯৬ সালে তাঁর প্রথম ছবি ‘দাস্তাক’ ছবির সেটে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সুষ্মিতা।
১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স খেতাব জয়ের পরে সুস্মিতা সেন মহেশ ভাটের ছবি দস্তকে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। ছবির শ্যুটিং এর সময় বিক্রম ভাটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে সুস্মিতা সেনের। সেই সময়ে আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন বিক্রম ভাট। তবে বিক্রম নিজেও নিজেকে সুস্মিতার থেকে আলাদা রাখতে পারেননি। এই নিয়েই একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে কথা বলেছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরি।
সুষ্মিতা জানিয়েছিলেন শুরুতে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তেমন ভাবে হয়নি। একে অন্যের নামে মহেশ ভাটকে অভিযোগ করতেন। তবে ছবির শেষে তাঁদের দূরত্ব শেষ হয়ে যায় ৷ সম্পর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে।সুস্মিতা জানিয়েছেন আগে তিনি মনে করতেন বিক্রম তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাই মহেশ ভাটকে অভিযোগ করতেন তাঁর নামে। কিন্তু পরে বন্ধু হয়ে ওঠেন একে অপরের।
এরপরেই শুরু হয় তাঁদের প্রেম পর্ব। এরপর গভীর হতে থাকে সম্পর্কের রসায়ন। বিক্রম ভাটকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল সুস্মিতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আগে তিনিই বিবাহিত ছিলেন? তিনি জানিয়েছিলেন সুস্মিতার সঙ্গে সম্পর্কের রসায়নের আগেই তিনি বিবাহিত ছিলেন। সুস্মিতা জানিয়েছিলেন বিক্রমও তখন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন না। বিশ্বসুন্দরির মতে বিবাহিত পরিচালকের সঙ্গে প্রেম-মোহ-হতাশা, সমস্ত সীমা পার, রং মশালের আলোর মতই সুন্দর। বিবাহিত পুরুষের বিয়ের বিবাহিত জীবনে সমস্যা হলে সেটি মনে রেখে অপরাধ বোধ করা উচিৎ।
সুস্মিতা জানিয়েছেন তাঁর মনে বিক্রম ভাটের প্রাক্তন স্ত্রী ও মেয়ের জন্য কোনও নেতিবাচক প্রভাব নেই। কেননা তিনি খুল্লাম খুল্লাই সমস্ত কিছু করেছিলেন। যখন তাঁদের দেখা হয় সেই সময় বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা কোর্টে চলছিল। বিশ্বসুন্দরিকে নিয়ে বিক্রান্ত বলেন ‘সুষ্মিতা ভালোবাসার কাঙাল। তিনি গোল্ড ডিগার নন, বরং লাভ ডিগার’।