‘আই ওয়ান্ট টু টক’ সিনেমাটিতে অভিষেক বচ্চন অভিনয় করেছেন অর্জুন চরিত্রে, যিনি একজন বাঙালি বাবা এবং এমন একটি গুরুতর রোগের সঙ্গে লড়াই করছেন, যা তার কথা বলার ক্ষমতা প্রায় কেড়ে নিয়েছে। ট্রেলারে দেখা যায়, এই রোগ তাকে বাক্য গঠনে অসুবিধার সম্মুখীন করে এবং প্রতিটি কথা বলতে তাকে কঠোর সংগ্রাম করতে হয়। এই অসুস্থতা তার জীবনে একটি স্থায়ী বাধা হয়ে দাঁড়ায়, যা তার জীবনের গল্প বলার আকাঙ্ক্ষাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। সিনেমাটির গল্প বাঙালি সংস্কৃতি ও পারিবারিক সম্পর্কের ছোটো ছোটো বিষয়গুলির পাশাপাশি একটি মানুষের কঠিন যাত্রার উপর ভিত্তি করে নির্মিত।
একটি অসুস্থ বাবার জীবন ও তার মেয়ের সহায়তা….
অর্জুনের মেয়ে রিয়া, যে তাকে ভালোবাসা ও সহানুভূতির সঙ্গে সাহায্য করে, বাবার জীবনযুদ্ধে তার সঙ্গী হয়ে থাকে। পরিবারের তরফ থেকে নানা চাহিদা এবং পারিবারিক সদস্যদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া এই রোগের সঙ্গে অর্জুনের লড়াইকে আরও জটিল করে তোলে। রিয়া, একজন তরুণী মেয়ে হিসেবে, তার বাবার শারীরিক সীমাবদ্ধতা এবং মানসিক যন্ত্রণা বুঝতে চেষ্টা করে এবং সবসময় তাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত থাকে। এমনকি সে তার বাবার সঙ্গে হাসপাতালে যাওয়ার পাশাপাশি, নিয়মিত থেরাপির পরামর্শ দিয়েও তাকে সহায়তা করে।
অভিষেক বচ্চনের চরিত্রের সংগ্রাম ও ভাষার প্রতি আকাঙ্ক্ষা কেমন প্রভাব ফেলেছিল?
এই সিনেমাটি মূলত অর্জুনের জীবন এবং তার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে আবদ্ধ, যেখানে তার কথার প্রতি গভীর আকাঙ্ক্ষা ফুটে ওঠে। এক পর্যায়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, জীবনে আরেকটি সুযোগ পেলে তিনি কী করবেন। অর্জুন সাদাসিধা উত্তর দেন যে, তিনি আবার কথা বলতে চান এবং তার নিজের গল্পটা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এই দৃশ্যটি অর্জুনের মনের গভীর ইচ্ছাকে প্রকাশ করে, যেখানে তার নিজস্ব পরিচিতি ও অনুভূতিগুলি তার মেয়ের এবং পৃথিবীর সামনে উন্মোচিত করার আকাঙ্ক্ষা থাকে। এটি একটি মানুষের কণ্ঠের শক্তির প্রতীক, যে শক্তি তার নিজের জীবন, আত্মপরিচয় এবং অন্যদের সাথে সংযোগের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
পরিচালক সুজিত সরকার জানিয়েছেন, সিনেমাটি একটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এবং অভিষেক বচ্চনের সাবলীল বাংলা সংলাপ উপস্থাপন চলচ্চিত্রটির বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। যদিও সিনেমাটিতে বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজি সংলাপের মিশ্রণ থাকবে, এটি বিশেষভাবে একটি বাঙালি পরিবারের গল্প এবং তাদের অনুভূতির গভীরতাকে তুলে ধরে।
‘আই ওয়ান্ট টু টক’ সিনেমাটি মূলত জীবনের সংগ্রাম, পারিবারিক সম্পর্ক এবং আত্মপরিচয় খোঁজার একটি আন্তরিক কাহিনি, যা দর্শকদের কথা বলার ইচ্ছার মূল্য সম্পর্কে আরও সচেতন করবে।