মেয়ের জন্মের পর আলিয়া ভাট নিজেকে যেমন ফিট এবং ছিপছিপে অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছেন, তা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণাদায়ক। আলিয়া জানিয়েছেন যে, শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে তিনি তার আগের ওজন পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার পছন্দের কিছু উদ্ভিজ্জ খাবারও উল্লেখ করেছেন, যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আলিয়ার খাদ্যাভ্যাস ও নিয়ম:
২০২০ সাল থেকে আলিয়া ভাট নিরামিষ খাদ্যাভ্যাস বা ভিগান ডায়েটে অভ্যস্ত হয়েছেন। এই ডায়েটে তিনি নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল খান, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। তিনি নিয়মিত ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর খাবার খান, কারণ একটানা পেট ফাঁকা না রাখাই তার ওজন কমানোর একটি কৌশল। শরীরচর্চা ও সুষম খাবারের পাশাপাশি সময়মতো স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ তার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করেছে।
আলিয়ার পছন্দের দুটি রেসিপি হলো ‘বিটের স্যালাড’ ও ‘স্কোয়াশের সব্জি’, যা খুব সহজে ঘরে তৈরি করা যায় এবং পুষ্টির পাশাপাশি ওজন কমাতে সহায়ক।
১. বিট স্যালাড
- বিটরুট (ছোট ছোট টুকরো করে কাটা)
- দই
- গোলমরিচ
- চাট মশলা
- কালো সর্ষে
- গোটা জিরে
- ধনেপাতা
- কারি পাতা
- হিং (এক চিমটে)
প্রণালী:
১. একটি বড় পাত্রে কুচানো বিট, দই, চাট মশলা, ধনেপাতা এবং গোলমরিচ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
২. একটি প্যানে সামান্য সাদা তেল গরম করে তাতে গোটা জিরে, সর্ষে, কারি পাতা ও হিং দিয়ে ফোড়ন দিন।
৩. এই ফোড়ন বিট ও দইয়ের মিশ্রণে ঢেলে দিন এবং ভালোভাবে মেশান।
এই স্যালাডের স্বাদ খুবই সুস্বাদু। এটি নিয়মিত খেলে শরীরে ফাইবার ও প্রোবায়োটিক পৌঁছায়, যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং ওজন দ্রুত কমাতে সহায়তা করে।
২. স্কোয়াশের সব্জি
উপকরণ:
- স্কোয়াশ (ছোট ছোট টুকরো করে কাটা)
- কালো সর্ষে
- কারি পাতা
- কাঁচালঙ্কা কুচি
- হিং (এক চিমটে)
- ধনে গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- আমচুর পাউডার
- কুরানো নারকেল (আধ কাপ)
- ধনেপাতা
প্রণালী:
১. একটি কড়াইয়ে সামান্য তেল গরম করে তাতে কারিপাতা, কাঁচালঙ্কা এবং হিং দিয়ে ফোড়ন দিন।
২. এবার ছোট টুকরো করে কাটা স্কোয়াশ দিয়ে স্বাদমতো লবণ দিয়ে ২-৩ মিনিট নেড়ে নিন।
৩. তারপর ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো এবং আমচুর পাউডার দিয়ে সব্জির মধ্যে ভালোভাবে মিশিয়ে ঢেকে দিন।
৪. পরে কুরানো নারকেল ও ধনেপাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
স্কোয়াশের এই সব্জি নিয়মিত খেলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ক্যালশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পায়। এছাড়া এতে ফাইবার থাকার কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আলিয়ার এই স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা অনুসরণ করে অনেকেই নিজের স্বাস্থ্য ও ফিটনেস ধরে রাখতে পারেন।