পঙ্কজ ত্রিপাঠী এবং মৃদুলা ত্রিপাঠীর বিবাহিত জীবন ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে, কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে পঙ্কজের মা মৃদুলাকে পুরোপুরি মেনে নিতে পারেননি। এটি একটি চ্যালেঞ্জিং সম্পর্কের গল্প, যেখানে সমাজের কিছু মানসিকতা এবং পরিবারের চাপ তাদের জীবনের অঙ্গীকারকে প্রভাবিত করেছে।
পঙ্কজ ত্রিপাঠী বর্তমানে বলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, তবে তার কেরিয়ার শুরুতে অর্থনৈতিক অসুবিধা ছিল। এই সময়ে, তাকে তার স্ত্রীর আয়ের উপর নির্ভর করতে হয়েছিল। মৃদুলা আট বছর ধরে সংসারের খরচ চালানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাদের সম্পর্কের শুরুর দিকেই, ১৯৯৩ সালে পঙ্কজের দিদির বিয়ে হয়েছিল, যেখানে মৃদুলা পঙ্কজের পরিবারের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করেন। এরপর তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ২০০৪ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
এমনকি দীর্ঘ ১৮ বছর পরেও, পঙ্কজের মা মৃদুলাকে কেন মেনে নেননি??
মৃদুলার কথায়, “আমার শাশুড়ি আমাকে আজ পর্যন্ত মেনে নেননি। কারণ, এই সম্পর্ক ভালো হতে পারে, এটা তিনি মনে করেন না।” এটি নির্দেশ করে যে পরিবারের মধ্যে মানসিকতা এবং সম্পর্কের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক অবস্থান এবং অর্থনৈতিক পার্থক্যও তাদের সম্পর্কের জন্য একটি বাধা সৃষ্টি করেছে। মৃদুলা বলেন, “ওদের পরিবারের সঙ্গে আমার পরিবারের তুলনায় অর্থনৈতিক অবস্থান দুর্বল ছিল। তখনকার দিনে, এটি একটি বড় সমস্যা ছিল।” এর ফলে, তাদের পরিবারের মধ্যে সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছিল। মৃদুলার পরিবারের কাছে এটি একটি অগ্রহণযোগ্য বিষয় ছিল যে, তাদের মেয়ে একজন তুলনায় দুর্বল পরিবারে বিয়ে হবে।
মৃদুলার কথা থেকে বোঝা যায় যে,
কেবল পঙ্কজের মা নয়, বরং মৃদুলার নিজের পরিবারেরও কিছু আপত্তি ছিল। তবে এতগুলো বাধা সত্ত্বেও, পঙ্কজ এবং মৃদুলার সম্পর্কের ওপর এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তারা একসঙ্গে সুখে দুঃখে কাটিয়েছেন এবং তাদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে।
পঙ্কজ ত্রিপাঠীর জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, অনেকেই তাদের সম্পর্ককে নিয়ে আলোচনা করেন। কিন্তু সম্পর্কের গভীরতা এবং পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা সেই সামাজিক চাপের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি দিয়েছে।
এটি একটি শক্তিশালী দাম্পত্য জীবনের উদাহরণ, যেখানে বাধা, সংকট এবং সামাজিক মানসিকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের ভালোবাসাকে শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে। বাস্তব জীবনের এই গল্পটি কেবল একটি সম্পর্কের মধ্যকার প্রেমের কথাই নয়, বরং এটি পরিবার, সংস্কৃতি এবং সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত নানা জটিলতা নিয়ে।