বলিউডের জিরো ফিগার অভিনেত্রীদের তালিকায় ছিলেন না কোনোদিনই বিদ্যা বালান। তবে বর্তমানে অনেকটা ওজন ঝরিয়ে ফ্যাট থেকে ফিট বিদ্যা বালান। কিন্তু কঠিন ডায়েট না করেও কীকরে এতটা রোগা হলেন বিদ্যা?
এরপর ভুলভুলাইয়া ৩ ছবিতে দেখা যাবে বিদ্যা বালানকে। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে ভুলভুলাইয়া ৩ এর বহু প্রতীক্ষিত গান, ‘আমি যে তোমার ৩.০’। সেখানে তাঁর রূপে মুগ্ধ দর্শক ভক্তরা। তবে কোন ম্যাজিকে এতটা ওজন ঝরিয়ে ফেললেন বিদ্যা বালান? ভয়ানক পিসিওডির সমস্যা পেরিয়ে কীভাবে এতটা ওজন ঝরালেন তিনি?
চলতি বছরের পয়লা নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে কমেডি-হরর ছবি ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’। রুহ বাবার সঙ্গে এই ছবিতে আবারো মঞ্জুলিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা। বড় পর্দায় এই দুই চরিত্রকে দেখার জন্য উৎসুক দর্শক ভক্তরা। ইতিমধ্যেই ছবির ট্রেইলার ও গানে ‘মঞ্জুলিকা’ অর্থাৎ বিদ্যা বালনকে দেখে মুগ্ধ অনুরাগীরা। প্রথমে যেন নিজের চোখকেই বিশ্বাস হচ্ছিলো না তাঁদের। ছবির প্রচারের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসেও নায়িকার নজর কাড়া রূপে মুগ্ধ ভক্তরা। তাঁকে দেখেই মনে হচ্ছে, বেশ খানিকটা ওজন ঝরিয়েছেন নায়িকা। এতে তাঁর সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
তবে কীভাবে এতটা ফিট হলেন বড়পর্দার মঞ্জুলিকা?
অনুরাগীদের এমন কিছু প্রশ্নের মুখে পড়েছেন বিদ্যা। অনেকের ধারণা ক্রাশ ডায়েটের ফলে এ সম্ভব হয়েছে। কারণ বিদ্যার যে পিসিওডির সমস্যা আছে সেকথা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। একটু বয়েস হলেই পিসিওডির কবলে পড়েন বেশিরভাগ মহিলা। ওজন বৃদ্ধি আবার কখনো ওজন হ্রাস ছাড়াও প্রচুর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে এই রোগের। তবে বিদ্যার কাছে হার মানলো পিসিওডি। সবথেকে বড়কথা বিপজ্জনক এই ক্রাশ ডায়েট না মেনেই ওজন ঝরিয়েছেন অভিনেত্রী।
অনেক সময়ে ডায়েটে অনেককেই কাঁচা ফল বা শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। বিদ্যার তা একেবারেই পোষাবে না। খাদ্যরসিক মানুষ তিনি। দক্ষিণ ভারতীয় খাবার তাঁর সবথেকে বেশি পছন্দের। অল্প পরিমাণে খাবার বারেবারে খাওয়া উপকারী। তাই বিদ্যা ‘নো-র’ ডায়েট করেছেন। প্রশ্ন হলো এটি আবার কি ধরনের ডায়েট?
‘নো-র’ ডায়েটের নিয়ম কি?
বিদ্যা বালান সবসময়েই রান্না করা খাবার খেয়েছেন। কোনো ধরনের কাঁচা শাকসবজি খাবারে রাখতেন না তিনি। সব রান্নাই হত সিদ্ধ বা সঁতে করা। যেহেতু বিদ্যার কাঁচা খাবার পছন্দ নয়, তাই তিনি ফল তেমনভাবে খেতেন না। বিদ্যার ডায়েটে মূলত থাকত সবজি। অবশ্য ফলের পরিবর্তে ফলের রসে বেশি ভরসা রাখতেন বিদ্যা।
তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য এই ডায়েটে পানীয় খাবার খেতে বলা হয়। তাই বিদ্যার খাবারের তালিকায় থাকতো ডালের জল, স্যুপ, ফ্রুট জ্যুস, দইয়ের ঘোল ইত্যাদি। এতে যেমন পেট ভরে যায়, তেমনই ওজন কমানোর পক্ষেও ভাল, সঙ্গে পুষ্টিকর। বিদ্যা বাল্যান সবসময়েই গ্লুটেন ফ্রি খাবার খেতেন। এতে ওজন বাড়ে না। বেশিরভাগ সময়েই বাড়িতে তৈরি খাবার খেতেন বিদ্যা।
দানাশস্য ও সবজিই বিদ্যার ডায়েটে বেশি থাকে। এতে যেমন পেট ভরে, তেমনই ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে সারাদিনে পর্যাপ্ত জলও খান বিদ্যা। এতে হজমে সাহায্য হয়। তবে ডায়েটের সঙ্গে শরীরচর্চায়ও সময় দিয়েছেন বিদ্যা। নিয়মিত যোগাসন ও ধ্যান করেছেন তিনি। জিম যাওয়া তাঁর খুব একটা পছন্দ না হলেও, ওজন ঝরাতে তাঁকে জিমে যেতে হয়েছে। ক্যালোরি ঝরাতে কার্ডিয়ো আর স্ট্রেন্থ ট্রেনিংয়ের উপর ভরসা রাখেন অভিনেত্রী।