রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রিয়াঙ্কা সরকারের সম্পর্কের জটিলতা, বিচ্ছেদের পরিপ্রেক্ষিত, এবং তাঁদের সন্তান সহজের জন্য পুনর্মিলনের গল্প এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
গত ১৬ অক্টোবর, রাহুল তাঁর জন্মদিন উদযাপন করেন পরিবারের সঙ্গে। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা, তাঁদের সন্তান সহজ, রাহুলের মা এবং একটি পোষ্যও ছিল সেই বিশেষ মুহূর্তে। ছবিতে একটি কেক দেখা যায়, যেখানে সহজ একটি চেয়ারে বসে আছে এবং রাহুল হাতে কেকের একটি টুকরো ধরে আছেন। প্রিয়াঙ্কা পোষ্যকে কাছে টেনে সেলফি তুলছেন, এমন সুন্দর মুহূর্তও ছবিতে ফুটে উঠেছে। রাহুলের এই জন্মদিনের উদযাপনটি বেশ সাধারণ মনে হলেও এটি তাঁদের পরিবারের পুনর্মিলনের একটি মিষ্টি ইঙ্গিত দেয়।
রাহুল পোস্টে লিখেছেন, “এ বছর অন্য বছরের থেকে আলাদা, তাও সন্তান চাইলে উদযাপন না করলেই নয়, আপনাদের সারাদিন ধরে জানানো ভালবাসায় আমি নিজেকে বিশেষ দিনে কেউকেটা ভাবলাম, ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে”। তাঁর এই বার্তায় পরিষ্কার যে, তিনি অনুগামীদের ভালোবাসা এবং সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞ। যদিও গত বছর, রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কার বিবাহবিচ্ছেদ প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, তবে তাঁদের ছেলে সহজের জন্য তাঁরা একে অপরের কাছে ফিরে আসেন।
রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার সম্পর্কের ভাঙা-গড়া নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। ২০২২ সালে, রাহুলের জন্মদিনটি রুকমা রায়ের সঙ্গে উদযাপন করতে দেখা গিয়েছিল। তারও আগে, ২০১১ সালে রাহুল সন্দীপ্তা সেনের সঙ্গে জন্মদিন কাটিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্কগুলো এখন অতীত হয়ে গেছে। রাহুল আবারও প্রিয়াঙ্কার কাছেই ফিরে এসেছেন, এবং তাঁদের ছেলে সহজকে কেন্দ্র করেই তাঁরা সম্পর্ক পুনরায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। যদিও তাঁরা এখন আলাদাভাবে থাকেন, তবুও সন্তানের ভালোর জন্য তাঁরা একসঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিচ্ছেদের আবেদন জমা দেওয়ার পরেও রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা আদালত থেকে নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। তাঁদের এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ ছিল সহজের ভালো থাকা। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন যে, সন্তানের জীবনে মা-বাবার উপস্থিতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই তাঁরা একে অপরকে সম্মান করে সন্তানকে ভালবাসা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। গত জুন মাসে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা তাঁদের সন্তানকে নিয়ে উত্তরবঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন, যা তাঁদের সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত করে।
এই পুনর্মিলনের পরিপ্রেক্ষিতে নেটিজেনরাও তাঁদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “একটা মেয়ে সব দিক থেকে সাকসেসফুল হবার পর, নিজের প্রিয় মানুষটার সাথে ইতি টেনে নিতে যেয়েও থেমে যায়। কেনও এত শর্ত ছিল, বিচ্ছেদ করবে না বলেই এত শর্ত। তার মুখের হাসিটাই তার প্রমাণ। এ হাসিটা তার হৃদয় থেকে আসা। তার খুশি, একটা পূর্ণতার সুখ।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায়, নেটিজেনরা রাহুল-প্রিয়াঙ্কার পুনর্মিলনে খুশি এবং তাঁদের ভবিষ্যতে সুখী জীবন কামনা করছেন।
এই মুহূর্তে, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা সন্তানের ভালোর জন্য নিজেদের ব্যক্তিগত মনোমালিন্য ভুলে এগিয়ে চলেছেন। যদিও তাঁরা এখনও একসঙ্গে পুরোপুরি বসবাস করেন না, তবে তাঁরা চেষ্টা করেন যাতে সহজের জীবনে বাবা-মায়ের উপস্থিতি অনুভব করতে পারে। সাম্প্রতিক কালের এই ঘটনা তাঁদের সম্পর্কের জটিলতার একটি ইতিবাচক দিক প্রকাশ করে, যা প্রমাণ করে যে সন্তানের সুখের জন্য মানুষ নিজের সুখকে ত্যাগ করতেও প্রস্তুত থাকে।