নতুন মাধ্যমে কাজ করার বিষয়ে উচ্ছ্বসিত নায়িকা সৌরসেনী। তিনি জানান, নতুন প্রযুক্তি ও প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ তাকে অনেক নতুন অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। সৌরসেনী বলেন, “আমি সবসময় নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি এবং এই প্রজন্মের দর্শকদের জন্য কিছু বিশেষ করতে চাই।” তাঁর বিশ্বাস, এই মাধ্যমগুলো শিল্পের বিভিন্ন দিক উন্মোচন করতে সক্ষম। তিনি আরো জানান, বর্তমানের কাজগুলো তার অভিনয় ক্যারিয়ারের একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।তিনি বলেন, “আমি সবসময় নতুন কিছু করার জন্য প্রস্তুত থাকি। আজকের প্রজন্মের দর্শকরা যেভাবে কনটেন্ট গ্রহণ করছে, তা সত্যিই অনন্য। এই মিডিয়াগুলো আমাদের গল্প বলার পদ্ধতি বদলে দিচ্ছে।” সৌরসেনী আরো বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করার সুবিধা হলো সেখানে স্বাধীনতা বেশি থাকে এবং নির্মাতারা তাঁদের ভাবনাকে বেশি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পারেন।
নাটকে সৌরসেনী
মডেলিংয়ের হাত ধরে তাঁর কেরিয়ারের সূত্রপাত। তাই মঞ্চ তাঁর কাছে নতুন নয়।গত কয়েক বছরে দর্শক সৌরসেনী মৈত্রকে ছবি এবং ওয়েব সিরিজ়ে দেখেছেন। এই প্রথম মঞ্চে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি। নাটকের নাম ‘কর্মব্যূহ’। সৌরসেনীর মতে, ক্যামেরার সামনে অভিনয় এবং মঞ্চে অভিনয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তাই আরও শেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন অভিনেত্রী।সৌরসেনী মৈত্র এবার নতুন এক অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত—প্রথমবার মঞ্চে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। নাটকের নাম ‘কর্মব্যূহ’, যা একটি বিশেষ থিম নিয়ে গড়ে উঠেছে। মঞ্চে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়া সৌরসেনী নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছেন।
টেলিভিশন ও সিনেমার বাইরে এই নতুন মাধ্যমের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য তার মধ্যে কৌতূহল এবং উত্তেজনা দুইই কাজ করছে।নাটকটি দর্শকদের কাছে একটি শক্তিশালী গল্প উপস্থাপন করবে। এতে মানবীয় সম্পর্ক, সমাজের জটিলতা এবং প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়বস্তু তুলে ধরা হবে। সৌরসেনী জানালেন, “মঞ্চে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে দর্শকের সান্নিধ্য অনুভব করা যায়, যা টেলিভিশন বা সিনেমায় সম্ভব নয়।””এটি একটি টিমওয়ার্ক, যেখানে প্রত্যেকের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
আমি খুব আশা করছি, দর্শকরা আমাদের কাজটি উপভোগ করবেন,” বললেন সৌরসেনী।এই নতুন অভিজ্ঞতা এবং উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে তিনি নিজের অভিনয় জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাইছেন। ‘কর্মব্যূহ’ নাটকটি শুধু তাঁর জন্য নয়, বরং দর্শকদের জন্যও একটি নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।