এরাজ্যে আরজি কর কাণ্ডের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছিল মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রির হেমা কমিটির রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট সামনে আসার পর রীতিমতো চমকে উঠেছিলেন সকলে। কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন অভিনেত্রীরা। রিপোর্টে উঠে এসেছিল বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা দক্ষিনী পরিচালকের নাম। এর জেরে চরম অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়েছিল দক্ষিনী ইন্ডাস্ট্রিকে।

সেই প্রেক্ষিতেই এবার মহিলা শিল্পীদের সমর্থন করার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপে নিয়েছে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। ফিল্ম।এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অফ কেরালা (FEFKA) -র তরফ থেকে চালু করা হয়েছে একটি ২৪ ঘন্টা টোল-ফ্রি নম্বর। যেখানে উল্লেখ্য বিষয় সম্পর্কিত অভিযোগের সমাধান করতে এবং কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ঠেকাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

চলতি মাস থেকেই কার্যকর করা হয়েছে এই প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, মহিলাদের রিপোর্ট করার জন্য এটি একটি নিরাপদ জায়গা। অভিযোগ গ্রহণ এবং হেল্পলাইন নম্বরটি পরিচালনা করবেন মহিলা কর্মচারী। কোনও গুরুতর অভিযোগ এলে আইনি পথ অনুসরণ করা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মালায়ালাম ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটে যায় এক ঘটনা। যেখানে একজন সুপরিচিত অভিনেত্রীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছিল। এরপরই ইন্ডাস্ট্রিতে লিঙ্গ পক্ষপাত ও অপব্যবহারের তদন্তের জন্য বিচারপতি হেমার সভাপতিত্বে এই কমিটি গঠন করা হয়।

FEFKA-এর উদ্যোগটি শিল্পের অভ্যন্তরে পদ্ধতিগত সমস্যাগুলির প্রতি অনেক প্রয়োজনীয় মনোযোগ আনবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই টোল-ফ্রি পরিষেবাটি এই সমস্যাগুলি মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ চিহ্নিত করবে বলে আশা করা যায়।

উল্লেখ্য মহিলাদের সুরক্ষার্থে মালায়ালাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরি হয়েছে হেমা কমিশন। কয়েকদিন আগে সেই কমিশনের আদলেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কমিশন তৈরি করার আর্জি জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরবারে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই গর্জে উঠেছিলেন তিনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সুদীর্ঘ পোস্টও করেছিলেন তিনি। তাতে লেখা ছিল, “মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থা ঘটনা উন্মোচন করে হেমা কমিশনের রিপোর্ট আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে কেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একই ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে না?”।

এখানেই শেষ নয় এই পোস্টের শেষে অভিনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে লিখেছেন, “আমরা এই একই রকম তদন্ত, রিপোর্ট এবং সংস্কার চাই”। এরপরই এই বিশেষ কমিটি তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।