শহরে আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ চলছে দিনের পর দিন। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি এই প্রতিবাদে সকলেই সামিল হয়েছেন।এক প্রতিবাদ মিছিলে দেখা যায় টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীকে।সেই মিছিলেই তিনি দেখতে পান এক প্রযোজককে। অভিনেত্রীর মনে পড়ে যায় সেই দুঃস্বপ্নের কথা ,তার পর আর চুপ করে থাকতে পারেননি অভিনেত্রী।
সম্প্রতি মালয়ালম চলচ্চিত্র জগতে যৌন হেনস্থার ঘটনা নিয়ে ‘হেমা কমিশন’ একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেখানকার জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা নিজেদের নির্যাতনের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। সেই একই অভিজ্ঞতা হয়েছে ঋতাভরীরও।
অনেক অল্প বয়সেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে আসেন তিনি। ছোট বয়সেই সাফল্যও পেয়েছিলেন তিনি। ঋতাভরীর ধারাবাহিক ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ এক সময় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। ধারাবাহিকে সাফল্য মিলতেই, একেবারে বড় পর্দার নায়িকা হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন তিনি। আর সেই পথেই আসে বাধা। কাজের নামে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁকে। টলিপাড়ার এক নামী প্রযোজকের হাতে। যদিও সেই সময় বলে উঠতে পারেননি অভিনেত্রী, কারণ টলিপাড়ার তখন নতুন ছিলেন তিনি, অভিনেত্রীর পায়ের তলার মাটিও শক্ত ছিল না।সেই ঘটনার কুৎসিত স্মৃতি তাঁকে তাড়া করে বেড়িয়েছে বহু দিন।
কেরিয়ারের শুরুতে কী হয়েছিল ঋতাভরী -র সঙ্গে?
যদিও টলিপাড়ার সেই প্রযোজকের নাম এখনও প্রকাশ করেননি অভিনেত্রী।এই ঘটনা সম্পর্কে ঋতাভরী বলেন, ‘‘কেরিয়ারের শুরুর দিকে বেশ কিছু বিরক্তিকর ঘটনা ঘটে। একটা মিটিং করতে যাই টলিপাড়ার এক খ্যাতনামা প্রযোজকের সঙ্গে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও গায়ে হাত দেন তিনি। চেঁচিয়ে বেরিয়ে যাই সেখান থেকে। তিনি হাত ধরেছিলেন, আমার তার পর থেকে নিজেকে নোংরা লাগছিল। আমি মাকে পর্যন্ত বলতে পারিনি। খালি মনে হত, আমি ভুল করেছি। আমি কেন গেলাম মিটিংটাতে! আসলে পায়ের তলার মাটি শক্ত ছিল না, ভয়ে ছিলাম তখন। এত বড় প্রযোজক! আমি মুখ খুললে আমাকেই শেষ করে দেবেন হয়তো”।যদিও এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে। নিজের জমি শক্ত করেছেন ঋতাভরী। শুধু টলিউডেই নিজেকে বেঁধে রেখেছেন, এমনটা নয়। বলিউড থেকে শুরু করে দক্ষিণী ছবি পর্যন্ত যাতায়াত বেড়েছে ঋতাভরীর। যদিও কাউকে কলঙ্কিত করা তাঁর উদ্দেশ্য নয় বলেই জানান অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন
প্রশ্ন উঠতে পারে, এত দিন পর মুখ খুললেন কেন?
ঋতাভরী জানান, মিছিলে হঠাৎ সেই প্রযোজককে দেখতে পেয়ে মনে পড়ে যায় সেই স্মৃতি।ঋতাভরী মনে করেন টলিপাড়ার সব অভিনেত্রীদের সঙ্গেও এমন টা যেন না হয়, তার জন্য প্রতিবাদটা প্রয়োজন।অভিনেত্রী দাবি করেন টলিপাড়ায় নায়িকাদের পণ্য হিসাবে দেখার যে চল রয়েছে সেটা এবার বন্ধ হোক।