সত্যজিৎ রায় আপামর বাঙালি সিনেমাপ্রেমীদের কাছে নস্ট্যালজিয়া। তাঁর ম্যাজিকের ছোঁয়ায় প্রতিটি ছবি হয় উঠত প্রাণবন্ত। তাঁর অপরূপ সৃষ্টি বাঙালি প্রতিটি পরতে পরতে অনুভব করেন। শুধুমাত্র পরিচালক নয় তিনি একাধারে ছিলেন লেখক, সঙ্গীত পরিচালক এবং চিত্রনাট্যকার। আজও তিনি সকল প্রজন্মের কাছে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তাঁর পরিচালিত ছবি একাধিক কালজয়ী ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল “মহানগর”। বাঙালিদের আরও একবার নস্ট্যালজিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বড়পর্দায় আসতে চলেছে সেই ছবি।
প্রসঙ্গত, সত্যজিৎ রায় পরিচালিত “মহানগর” ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৩ সালে। সেই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা অনিল চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায় সহ প্রমুখ কিংবদন্তী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এই গল্পের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছিল তৎকালীন কলকাতার আর্থসামাজিক অবস্থা এবং এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সংগ্রামের গল্প। মাঝে কেটে গিয়েছে ৬১ বছর। বদলেছে সময়। বদলেছে শহর কলকাতা। মানুষের জীবনযাপনেও এসেছে বদল। কিন্তু বদলায় সত্যজিৎ রায়-এর “মহানগর”। আজও কলকাতার অলি-গলিতে ছড়িয়ে রয়েছে তার ছাপ। সেই পুরোনো কলকাতার স্মৃতিকে আরেকবার মনে করিয়ে দিতে এই অভিনব ভাবনা।
ষাট দশকের গল্প ফের একবার একুশ শতকে এসে দেখতে পাওয়া যাবে দক্ষিণ কলকাতার নবীনা-তে। এবিষয় নবীনা সিনেমা হলের কর্ণধার নবীন চোখানি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, কিংবদন্তী পরিচালকের এই কালজয়ী সৃষ্টিকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এই অভিনব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ফের একবার মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবিটি।
এর আগে, মুক্তি পেয়েছে “বীরজারা”, “রহেনা হ্যায় তেরে দিল মে”, “টুম্বর”-এর মতো বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় হিন্দি ছবি। এখানেই শেষ নয় পুজোতেও ফের একবার মুক্তি পেতে চলেছে “চাঁদের পাহাড়”। এবার সেই তালিকাতে যুক্ত হল কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়-এর কালজয়ী “মহানগর”।
এইখবর প্রকাশ্যে আসার পর উচ্ছ্বসিত সিনেমাপ্রেমীরা। নতুন ছবির মাঝেই পুরোনো ছবি ফিরিয়ে আনার এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
