সম্প্রতি ঘটে গিয়েছে এক নারকীয় হত্যাকাণ্ড শহর কলকাতায়। তিলোত্তমার বিচারে সরব হয়েছেন গোটা বিশ্ববাসী। সেখানে পিছু হাঁটেননি টলিউড তারকারাও। রাজপথে দেখা গেছে বহু চেনা মুখ। এবার তাঁদের ই মধ্যে দেখা গেল কনীনিকা ও মিমি চক্রবর্তীকে, তাঁরাও হাঁটলেন রাজপথে তিলোত্তমার বিচার চেয়ে।
ছোট পর্দার কলাকুশলীরা আয়োজন করেছিলেন এক সমাবেশের সেখানেই হাঁটতে দেখা যায় কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন,” যে দেশের মুখ্যমন্ত্রী একজন নারী সেই দেশের নারী অবশ্যই বিচার পাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি মা বলে সম্মোধন করেন, এবং বলেন মা মানুষকে বিচার দেবেন, বিচার সঠিক হবেই, তাঁর শুধুমাত্র বিচারই চাই । তিনি জানান সব ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া সম্ভব নয়। যারা শিক্ষিত নন এ সমাজের তাঁরাও অবগত সেদিন রাতে কী ঘটেছিল তা নিয়ে । সুতরাং এই ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কথা বলার সময় তিনি যোগ করে দেন পথে নামা বন্ধ হবে না যতদিন না মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছে। তাঁর কন্যা সন্তানের বিষয়ে তিনি বলেন যে সব মায়েদের পুত্র সন্তান আছে তাঁদের প্রথমে জানতে হবে একটি মেয়েকে কীভাবে সম্মান করতে হয়, সে সব মায়েদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে, তাঁদের পুত্র সন্তানদের শেখাতে হবে গুড টাচ এবং ব্যাট টাচ এর বিষয়। তিনি বলেন যদি ন্যায় বিচার না পাওয়া যায় তবে তার কন্যা সন্তানকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে সে লড়তে পারে এবং সে যেন যুদ্ধে নামতে পারে।” তবে ইতিমধ্যেই কথা বলা গিয়েছে মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গেও। মিমি বলেন “এই ঘটনার পূনরাবৃত্তি হচ্ছে কারণ মানুষের মধ্যে ভয় নেই, নারী শক্তির আরাধনা কেবলমাত্র দুর্গা ঠাকুরের সামনে দাঁড়িয়ে অঞ্জলী দেওয়া বা মা কালীর পূজা করাই নয় প্রত্যেক নারীকে সম্মান করাই হল আসল নারী শক্তির আরাধনা করা। যে বাবা মা তাঁদের সন্তান হারিয়েছেন তাদের ন্যায়ের জন্য যেন বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে না হয়, খুব শীঘ্রই যেন এর বিচার পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন দুমাস পর অথবা তিন মাস পর এই প্রতিবাদ মিছিল বন্ধ হয়ে যাবে তবে তার জন্য যেন ন্যায় বিচারের দেরি না হয় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি রাখছেন।”
রাজপথে নামেন কনীনিকাএবং মিমি চক্রবর্তী ছারাও বহু চেনা মুখ এবং বহু তারকা। তিলোত্তমার বিচার চাইছেন প্রত্যেকে। যেসব তারকা পথে নামতে পারছেন না তাঁরা প্রতিনিয়ত প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। সবার একটাই দাবি বিচার চাই বিচার দাও। গোটা সমাজ নিশ্চিত ভাবে সুবিচারের দিকে তাকিয়ে আছে। সকলের দাবি এই বিচার যেন খুব শীঘ্রই পাওয়া যায়